Wednesday, 16 April, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110

কর্মসূচি দমনে ‘গুলি’ নিষিদ্ধ চান রিজভী

অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি - সংগৃহীত

রাজনৈতিক কর্মসূচি দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার যে গুলিবর্ষণের ক্ষমতা দিয়েছিলো তা ‘চিরতরে নিষিদ্ধ’ করার দাবি জানিয়েছেন  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে এই দাবি তুলে ধরেন তিনি।

 রুহুল কবির রিজভী বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৬ বছরে কি হয়েছে আপনারা দেখেছেন? আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, এদেশে যেন কোনো বিক্ষোভ, কোনো আন্দোলন যাই হোক না কেনো সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শর্টগান বের করে গুলি করে হত্যার যে দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী রেখেছে. সেই আন্দোলন দমানোর অথবা যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিকে দমনের জন্য গুলির ব্যবহার, শর্টগানের ব্যবহার চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।  এখন থেকে কোনো বর্বর শাসকের কোনো বর্বর আইন প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না।

রিজভী বলেন, ওই পরিবেশ থেকে এমন একটি পরিবেশের উত্তরণ ঘটাতে হবে, এমন সংস্কার করতে হবে যাতে কোনো সরকারই যেন রক্তচক্ষু দেখিয়ে জনগনকে দমন করতে না পারে। আমরা সেই পরিবেশ চাই।আমরা আমাদের স্বাধীন চিন্তা, স্বাধীন মতামত প্রকাশে কেউ যেন আমাদের বাধা হয়ে না দাঁড়াতে পারে।

আওয়ামী লীগের হরতাল-অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা দেশে ‘বিশ্রঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে’।  শেখ হাসিনা তার বর্বর শাসন ফিরে পাবার জন্য মরিয়া। উনি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আশ্রয় পাচ্ছেন… আশ্রয় পেয়ে তিনি নানা ধরনের বাংলাদেশের ভেতর উস্কানিমূলক কাজ এবং চক্রান্ত করার জন্য তার নেতা-কর্মীদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন। কিন্তু জনগনের সাড়া না পেয়ে এখন তারা হরতাল আর অবরোধ করছেন অনলাইনে। জনগনের মধ্যে তারা যেতে পারছেন না। কোথায় উনার রক্ষাবাহিনী, কোখায় তার যুব লীগ-ছাত্র লীগ, কোথায় তার র‌্যাব-পুলিশ …যাদের দিয়ে নির্বিচারে গণতান্ত্রিক শক্তি রক্ত ঝরিয়েছে, লাশ করেছেন মাসুম বাচ্চাদেরকে।

মুন্সিগঞ্জের নবগঠিত আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সিনহা ও সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে রিজভী দুপুরে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

নির্বাচনী রোডম্যাপ দিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের ডেটলাইন দিতে হবে। আমরা ১৬/১৭ বছর যেটা বঞ্চিত হয়েছি, জনগন বঞ্চিত হয়েছে সেই বঞ্চনার দুঃস্বপ্ন যাতে দূর হয় সেই জন্য অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটা তারিখ অবশ্যই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দিতে হবে। আমরা স্পষ্ঠভাষায় বলতে চাই, বিএনপি সংস্কারের বিরুদ্ধে নয়…আমরা সংস্কার কি কি হওয়া উচিত সেটা বলেছি। সংস্কার তো একটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা যুগ যুগ ধরে চলবে। জনগনের যে দাবি এই দাবির ওপর ভিত্তি করেই তো সংস্কার হবে। কিন্তু তার জন্য নির্বাচন আটকিয়ে রাখার কোনো অর্থ হয় না।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরে পাবার জন্য এক রক্তঝরা আন্দোলনে ১৬ বছর বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীর আত্মদান আর তাদের রক্তভেজা শার্টের বিনিময়ে আজকের এই পরিবেশ। আমরা একটি পর্যায় পার করেছি গণতন্ত্রের এখন চূড়ান্ত পর্ডায়ে আমাদের আাসতে হবে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসন আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত